০৪ মে ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ
নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

অনলাইন ডেস্ক

তাড়াশ উপজেলার ১ নম্বর তালম ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আব্দুল লতিফ সরকার। ওই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত। তাই ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, যদি কোনো ব্যক্তি মারা যান, তাহলে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কার্যালয়কে জানাতে হয়। পরে নির্বাচন কার্যালয় থেকে একজন মাঠকর্মী বিষয়টি তদন্ত করেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। তার যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মৃত্যুর কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যুসনদও লাগে। আব্দুল লতিফ সরকারের পরিবারের কেউ হয়তো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে নির্বাচন কার্যালয়ে জমা দিয়েছে।

তাড়াশ উপজেলায় ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ১ নম্বর তালম ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মো. আব্দুল লতিফ সরকার। গত ৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ১২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। কারণ হিসেবে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়, ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। অর্থাৎ ওই তালিকা অনুযায়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল লতিফ সরকার এখন ‘মৃত’। তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অথচ ভোটার তালিকা অনুযায়ী তার জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি কার্ড) রয়েছে। যার নং-৮৮১৮৯৭৩৯৯৯২৪১। এ ঘটনার পর আব্দুল লতিফ সরকার মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষ সিরাজগঞ্জ বরাবর আবেদন করেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তির শেষ তারিখ রয়েছে।

আপিল আবেদনে আব্দুল লতিফ বলেন, ২০১৭ সালের ভোটার তালিকায় ২৯১ ক্রমিক নম্বরে আমার নাম ছিল। কিন্তু ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকায় নাম নেই। এ অবস্থায় সর্বশেষ ভোটার তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ ও প্রার্থিতার বৈধতার জন্য এ আবেদন করেছি। সেখানে কাজ না হলে আদালতের শরণাপন্ন হব। তিনি আরও বলেন, আমি এখনও জীবিত। প্রার্থী হতে গিয়ে জানলাম আমি মৃত। এটা কি করে সম্ভব?

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকায় মো. আব্দুল লতিফ সরকারের নাম নেই। তালিকায় নাম না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী তাকে মৃত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এ কারণে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। আব্দুল লতিফ সরকার মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আপিলে নিষ্পত্তি করবে।

এ বিষয়ে তালম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্বাস উজ জামান বলেন, আব্দুল লতিফ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাকে নির্বাচনের মাঠে হয়রানি করতে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে জাল মৃত সনদ তৈরি করে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে নিয়োজিত সুপারভাইজারের কাছে আব্দুল লতিফের যে মৃত সনদ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে থাকা স্বাক্ষরটি যাচাই করলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019